মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সামাজিক অপরাধ করবেন না : মৎস্য ও প্রাণিসসম্পদ মন্ত্রী

সামাদ খান, মধুখালি (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কোন অবস্থাতেই সামাজিক অপরাধ করবেন না। শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্থানীয় পাইলট স্কুল মাঠে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি বলেছিলো তাদের ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হবেনা। কিন্তু সবাই দেখলো নির্বাচন হলো। এরপর বলেছিলো নির্বাচন হলেও বিদেশিরা স্বীকৃতি দিবেনা। বিদেশিরাও স্বীকৃতি দিলো। সবইতো হলো, এবার দয়া করে আগামী যেকোন নির্বাচনে অংশ নেন। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কোন অবস্থাতেই সামাজিক অপরাধ করবেন না। শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র আছে। নির্বাচনের আগেও ষড়যন্ত্র হয়েছে। নির্বাচনের পরেও ষড়যন্ত্র আছে। তবে যতো ষড়যন্ত্র হয়েছে এ পর্যন্ত সব ষড়যন্ত্রেই শেখ হাসিনার বিজয় হয়েছে। কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ এক অনন্য উচ্চতায় পৌছে গেছে। সারাবিশ্ব আজ এই দেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই দেশই হবে সৌদি আরব, এই দেশই হবে সিঙ্গাপুর।

এসময় আব্দুর রহমান ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামেই ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।

তিনি বলেন, মঞ্চে এসে আমাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দিতে হবেনা। আমিই উল্টো আপনাদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে সবার সাথে সাক্ষাৎ করে ফুল নিয়ে আসবো। মন্ত্রী যাবে আপনাদের চুলোর পিঠে। মন্ত্রী যাবে স্কুল, কলেজে, হাটে-বাজারে সব জায়গায়। মন্ত্রী যাবে সাধারণ মানুষের কাছে। আব্দুর রহমান বলেন, “মন্ত্রীরে ক্যামনে চাপাদহ বিলে চুবাইতে হয় সেটিই আমি এবার করবো।”

তিনি মন্ত্রীত্ব পাওয়ার অভিব্যক্তি তুলে ধরে বলেন, ভেবেছিলাম হয়তো এমন একজায়গায় আমাকে দিবে যেখানে থেকে আরো কিছু কাজ করার সময় পাবো। এখন দেখলাম এমন জায়গায় এসেছি, এই জায়গায় তিতপুটি, ট্যাংরা নানা ধরনের কাজ।

তিনি বলেন, আমার জীবনে আর কিছু পাওয়ার পাওয়ার নেই। এই মধুখালিতে এর আগে কেউ মন্ত্রী হতে পারেননি। আল্লাহ যাকে ইজ্জত সম্মান দেয় কেউ কেড়ে নিতে পারেনা। আর যার ইজ্জত কেড়ে নেন কেউ তা ফিরিয়ে দিতে পারেনা।

তিনি গত নির্বাচনে তার বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করে বলেন, কিছু কিছু মানুষের উপর আমার দুঃখবোধ-কষ্টবোধ আছে, আমি ওদের কি ক্ষতি করলাম? তবু কিছু কথা থেকে যায়! আল্লাহ যেনো আমাকে ওদের ক্ষমা করে দেয়ার তৌফিক দেন। তিনি বলেন, ন্যায়ের সংগ্রাম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে জীবন দেবো। তবু অন্যায়কে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেবোনা। এই মাটিকে কলুষযুক্ত করে যাওয়ার চেষ্টা করে যাবো। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।

মধুখালি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সহধর্মিণী বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল ব্যানার্জী, আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার সাহা,পান্না গ্রুপের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন খান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com